Preparation for Physics Olympiad
(Absolute Beginners)
Cosmos Physics Circle, Cumilla
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের অলিম্পিয়াডে ভালো না করার অন্যতম প্রধান কারণ সঠিক গাইড লাইন না পাওয়া। কি পড়ব, কোথাথেকে পড়ব, কিভাবে পড়ব; এসব প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে হাল ছেড়ে দেয় অনেকে। অনেকে আবার পিছিয়ে যায় লোকমুখে “পদার্থবিজ্ঞান কঠিন” শুনে। তবে প্রকৃত ফিজিক্স এর সাথে পরিচিত হলে তোমরা বুঝতে পারবে ফিজিক্স এর সৌন্দর্য। ছোট বয়স থেকেই প্রকৃত ফিজিক্স এর স্বাদ অনুভব করার সেরা মাধ্যম ফিজিক্স অলিম্পিয়াড।
ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের জন্য পড়াশোনা করার আগে একটু জেনে নাও বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড (BDPhO) কীভাবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দল কীভাবে সিলেকশন করা হয়। সামনের পথটা কেমন হবে আগে থেকে জানা থাকলে তোমার প্রস্তুতি নিতেও অনেক সুবিধা হবে।
ফিজিক্স অলিম্পিয়াড যেভাবে কাজ করে...
ফিজিক্স অলিম্পিয়াড এর প্রথম ধাপটিই হলো অনলাইন সিলেকশন ফিজিক্স অলিম্পিয়াড। এরপরে-
Step 01 : Selection Round
Step 02 : Regional Round
Step 03 : National Round
Step 04 : National Camp
Step 05 : Extension Camp
Step 06 : APhO-EuPhO Camp
Step 07 : IPhO Camp
এখানে প্রতিযোগিরা ভাগ হয় 4টি ক্যাটাগরিতে। যে বছরের অলিম্পিয়াড আয়োজিত হচ্ছে, সে বছরের (উল্লেখ্য, X সালের অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক পর্যায় অনেক সময় X-1 বছরের শেষের দিকে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রেও ক্যাটাগরি ভাগ X সাল অনুযায়ী হবে)
ক্যাটাগরি A : Class 5-6
ক্যাটাগরি B : Class 7-8
ক্যাটাগরি C : Class 9-10 and SSC
ক্যাটাগরি D: Class 11-12 and HSC (before starting University)
সারাদেশে বছরভেদে প্রায় 10-15 টি অঞ্চলে আয়োজিত হয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক পর্ব। আঞ্চলিক পর্যায়ের সার্কুলারের জন্য বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখবে।
এরপর আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে। জাতীয় পর্যায়ের আয়োজন হয় সচরাচর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। জাতীয় প্রতিযোগীতায় প্রতিটা ক্যাটাগরিতে আবার আরেকটি পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং প্রতি ক্যাটাগরি থেকে গড়ে 20-30 জনকে বাছাই করা হয়। C ও D ক্যাটাগরির সবাইকে জাতীয় ক্যাম্পের জন্য ডাকা হয় (কখনো কখনো A ও B ক্যাটাগরির প্রথম 10 জনকেও ডাকা হয়, তবে সেটা কমই ঘটে)।
ক্যাম্পে কোনো ক্যাটাগরিভাগ থাকে না। সব ক্যাটাগরির জাতীয় পর্যায়ের পদকপ্রাপ্তরা সেখানে একসাথে ক্লাস করে। ক্যাম্পে মূলত প্রবলেম সল্ভিং টেকনিক রপ্ত করানো শেখানো হয়, এবং ধরে নেওয়া হয় যে তুমি যথেষ্ট পরিমান থিওরি জানো। প্রতিদিনের ক্যাম্প শেষে বাড়ির জন্য প্রবলেম সেট দেওয়া হয়।
জাতীয় ক্যাম্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটা হচ্ছে APhO-EuPhO সিলেকশন টেস্ট। সিলেকশন টেস্টের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মোট ৮ জনকে Asian Physics Olympiad (APhO) এবং 5 জনকে European Physics Olympiad (EuPhO) তে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সিলেক্ট করা হয়। একটা ব্যাপার একটু মাথায় রাখো, দ্বাদশ শ্রেণির ছেলেমেয়েরা এইচ.এস.সি পরীক্ষার কারণে APhO তে অংশগ্রহণ করতে পারে না; এজন্য APhO টীমে D ক্যাটাগরি থেকে শুধুমাত্র ক্লাস এলেভেন এর ছেলেমেয়েদেরই নেওয়া হয়।
কিছু কথা...
এখন আমরা প্রীপারেশন নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। অলিম্পিয়াড নিয়ে পড়াশোনা করার জন্যে একাডেমিক পর্যায়ের ভালোমানের বই নেই। তাছাড়া পদার্থবিজ্ঞান এর আলোকে বাজারে অনেক পপুলার সায়েন্স, সায়েন্স ফিকশন, খোশগল্প, ইতিহাস নিয়ে অনেক অনেক বই আছে এসব বই থেকে জ্ঞান আহরণ করে বেশি দূর আগানো যায়না।
প্রথমত একটা জিনিস বোঝো যে, অন্য সব অলিম্পিয়াডের মতই ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও অনেক সময়সাপেক্ষ। আমরা অনেককেই চিনি যারা আঞ্চলিক পর্যায়ের এক সপ্তাহ আগে এসে জিজ্ঞাসা করে অলিম্পিয়াডের জন্য কীভাবে পড়াশোনা করা উচিত। সত্যি বলতে এভাবে কিছুই হয় না। অলিম্পিয়াডে ভালো কিছু করতে চাইলে তোমাকে অনেকদিন ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। সচরাচর একজন IPhO ব্রোঞ্জ মেডেলিস্টের একটা ব্রোঞ্জ মেডেলের জন্য দুই-তিন বছর ধরে অলিম্পিয়াডের জন্য খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। সিলভার/গোল্ড মেডেলিস্টদের জন্য এটা চার বছর পর্যন্ত হতে পারে (অবশ্যই এই সময়টা প্রত্যেকটা মেডেলিস্টের জন্য আলাদা; তবে সবার ক্ষেত্রেই অনেক লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতির বিষয়টা সাধারণ)।এজন্য তুমি যখনি এই লেখাটা পড়ছো, এখনই বসে যাও প্রস্তুতির জন্য। আঞ্চলিকের আগে পড়াশোনা করে খুব বেশিদূর এগোতে পারবে না, তোমার উচিত হবে সারাবছর সবসময় প্রচুর পড়াশোনা করা এবং প্রবলেম সল্ভিং করা।
Preparation Plan :
এবার আসো বলার চেষ্টা করি কোন ক্যাটাগরিতে কী কী পড়বে। বেসিক্যালি যারা ক্লাস 9-10-SSC তাদের জন্যে এই নোট। সবচেয়ে বেশি দরকার সদ্য ক্লাস ৯ এর শিক্ষার্থীদের -
ক্লাস 9 এ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক্যালি পদার্থবিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হয়। তোমরা সর্বপ্রথম ধারণা পাও তোমাদের টেক্সটবুক থেকে। প্রথম কাজ হবে যত তাড়াতাড়ি পুরো বই থেকে সব টপিকের ভালো আইডিয়া নেয়া যায়। ততক্ষণে তোমার কিছু গাণিতিক দক্ষতা পাকাপোক্ত হয়ে যাওয়া উচিৎ
Basic Mathematical Medicine :
সরলরৈখিক(Linear) ও দ্বিঘাত সমীকরণ (Quadratic Equations) সমাধান করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হওয়া
জ্যামিতিক কোণ ও ত্রিকোণমিতি নিয়ে জ্ঞান লাগবে
জ্যামিতিক চিত্র বুঝে শুনে আকার দক্ষতা ও জ্যামিতিক পরিচিত লাগবে (সম্পাদ্য বা উপপাদ্য কোনটাই বুঝাই নি)
ফাংশন ও ফাংশন সম্পর্কিত গ্রাফ
এলজেব্রা নিয়ে ক্লিয়ার আইডিয়া লাগবে (যেমন : logx, e^x এর প্রকৃতি কি ইত্যাদি)
কিছু বই সাজেশন :
১) ৯-১০ এর বর্তমান পাঠ্যবই থেকেও বেশি কার্যকরি বই হল : জাফর ইকবাল স্যার এর লিখা - পদার্থবিজ্ঞানের ১ম পাঠ (টেক্সট বই হিসেবে এইটা যত দ্রুত শেষ করতে পারো)
২) তোমাদের ক্লাস ৯-১০ এর সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বই
পদার্থ বিজ্ঞান টেক্সটবুক পড়ার পাশাপাশি তোমার গণিত টেক্সটবুক থেকে এইসব গণিত নিয়ে পড়াশোনা করে ফেলতে হবে একই সময়ে। ক্লাস ৯ এর শুরুতে এসব দিকে নজর দিতে হবে বা তার ও আগে।
একই সাথে আরো কাজ করতে হবে - ইংরেজি ফিজিক্স বই পড়া শুরু করা। কারণ পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে সুন্দর সুন্দর বইগুলোই যে ইংরেজিতে লেখা! সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জনের জন্য তোমরা Paul Zeitz এর The Art and Craft of Problem Solving বইটি পড়ে দেখতে পারো। বইটি মূলত গণিতের হলেও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জনে বইটি অসাধারণ। বইটির শেষের দিকে হাইয়ার ম্যাথামেটিক্স এর কিছু চ্যাপ্টার আছে। ওইগুলোও যে তোমাদের পড়ে শেষ করতে হবে এমন না! সমস্যা সমাধানের উপর লিখা প্রথম 4টি অধ্যায় পড়ে দেখতে পারো।
অথবা গণিতের স্বপ্নযাত্রা - আর্ট অফ প্রবলেম সলভিং বই এর প্রথম ৩টা অধ্যায় পড়লে প্রবলেম সলভিং নিয়ে ফিলোসোফি ও সাইকোলজি ক্লিয়ার হবে।
আমাদের আসল লক্ষ্য - ফিজিক্স শেখা
ক্যাটাগরি সি (ক্লাস ৯-১০-SSC)
অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নেওয়ার আসল সময়ই হচ্ছে ক্যাটাগরি C । বাংলাদেশের বেশিরভাগ IPhO মেডেলিস্টের অলিম্পিয়াডে যাত্রা শুরু ক্লাস নাইনে।
এই ক্যাটাগরি থেকেই মূলত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য বাছাই শুরু হয়। তাই এই ক্যাটাগরিতে প্রস্তুতিটাও একটু বিস্তর। এই ক্যাটাগরিতে ভালো করতে হলে দরকার হয় ফিজিক্স এর বিষয়গুলোতে পরিষ্কার ধারণা। এছাড়া প্রবলেম সলভিং স্কিল তো লাগবেই। প্রবলেম সল্ভিং এর জন্য বাংলাদেশের স্কুল কলেজের বইগুলো মোটেও উপযোগী নয়। একারণে অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নিতে কেউ ভুল করেও উচ্চমাধ্যমিকের বই ঘাটাঘাটি করতে যেও না! তবে বর্তমান নাইন-টেনের বইটা বেশ ভালো। প্রস্তুতির শুরুতে সবার আগে নাইন-টেনের ফিজিক্স টেক্সটবুক্টা শেষ করে নেবে (যদি এখনো না করে থাকো)
ক্লাস ৯ থেকেই তোমাদের ইংরেজি বই পড়া শুরু করা উচিত।
সবার আগে যেই বইটা পড়বে সেটা হচ্ছে– Halliday, Resnick ও Krane এর রচিত Physics Part-1 ও 2। অনেকে এই বইটার বদলে Serway & Jewett এর লেখা Physics for Scientists and Engineers কিংবা Young ও Freedman এর University Physics বইটা পড়ে। এই তিনটা বইকে বলা যায় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের টেক্সটবইয়ের মত। এই তিনটা বইয়ের যেকোনো একটা বই খুব ভালোমতো প্রবলেমসহ শেষ করে ফেলবে আগা-গোড়া। এতে একটু সময় লাগবে, তবে এই ধাপটা অপরিহার্য।
এর বাইরে আরেকটা বই আছে– সেটার নাম হচ্ছে Fundamentals of Physics by Halliday, Resnick and Walker। HRK Physics এর তুলনায় HRW Fundamentals of Physics এর প্রবলেম কালেকশন বেশি। তবে এই বইটা একটু বেশী সহজ বলে তোমাদের উচিত হবে আগের তিনটা বইয়ের একটা পড়া।
Fundamentals of Physics বই সম্পর্কে AOPS(Art of Problem solving) এ বলা হয়েছে-
Here are two introductory physics texts by Halliday and Resnick. This happened because after their first textbook had existed for a decade, some colleges began asking for an easier version.
"Physics" by Resnick, Halliday, and Krane is in its 5th edition (published 2002). This book is often called "HRK". It is the recommended book for Olympiad preparation. The current editor is Paul Stanley, former academic director of the US Physics team. This edition has many challenging problems in it.
"Fundamentals of Physics" by Halliday, Resnick, and Walker is in its 10th edition (published 2013). This edition describes the basic physics of the same topics as HRK. However, it goes into less detail, omits some of the interesting calculations, and has fewer challenging problems. Although this is a good book, it is not written to train students to the same level of problem-solving ability as HRK. So HRK is recommended for those interested in improving their problem-solving ability to the level of the USAPhO or similar olympiad physics competitions.
University Physics বইটিতেও অনেক ভালো প্রবলেম আছে। এছাড়া Physics for Scientists and Engineers by Serway and Jewett বইটিও চমৎকার। এই বইটি অনেকটা HRK ও University Physics এর সমষ্ঠি মতো। বইগুলো কন্টেন্ট এর দিক থেকে প্রায় সমান । আমি বলব তোমাদের উচিত প্রতিটি বই থেকে অন্তত একটা জানা বিষয় পড়ে দেখতে এরপর যে বইটা ভালো লাগবে সেটা পড়বে।
তোমার উচিত হবে এই বইগুলো ভালোভাবে বুঝে বুঝে পড়া ও সমস্যা সমাধান করা। থিওরি পড়া অপেক্ষা প্রবলেম সল্ভিং এ বেশি সময় দিতে হবে। এই বইগুলো অলিম্পিয়াডের পাঠ্যবই এর মতো। শুধুমাত্র এই বইগুলো পড়েই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সিলেক্ট হয়েছে কিন্তু অনেকে!
ক্যালকুলাস শিখতে হলে-
তবে এই বইগুলো পড়তে গেলে ক্যাল্কুলাস এর জ্ঞান লাগে। ক্যাল্কুলাস শেখার জন্য আসলে ইন্টারমিডিয়েটের পাঠ্যবই মোটেও উপযোগী নয়। নিজে নিজে এ বইগুলো পড়ে ক্যাল্কুলাস শেখা দুষ্কর। ক্যাল্কুলাসের জন্য Quick Calculus by Kleepner and Ramsey বইটি পড়তে পারো। এছাড়া Calculus for Dummies by Mark Ryan বইটিও ভালো। ফিজিক্স এর জন্য ক্যাল্কুলাস গুরুত্বপূর্ণ হলেও ক্যাল্কুলাস আসলে গণিতের অনেক বড় একটা শাখা। যতটুকু দরকার, তার থেকে বেশি সময় ক্যাল্কুলাসের পেছনে দেওয়া একদমই উচিত হবেনা। শুধু ক্যাল্কুলাস নয়, গণিতের যেকোন বিষয় (যেমন ভেক্টর , বীজগণিত) করার সময় মনে রাখতে হবে, তোমার মূল উদ্দেশ্য ফিজিক্স , গণিত নয়। ক্যাল্কুলাস বাদেও ত্রিকোণোমিতি ও স্থানাংক জ্যামিতিতেও দক্ষতা দরকার হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত ৯ম-১০ম শ্রেণিতে শেখানোটুকুই যথেষ্ঠ হয়।
Step by Step :
অনেক বই নিয়ে বললাম এখন আমরা স্টেপ অনুযায়ী প্রীপারেশন প্ল্যান করবো -
★ধরে নিবো শুরুতে বলা - নিজের টেক্সটবুক থেকে ফিজিক্স ও ম্যাথ শিখে ফেলা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা করেছো বা পারো তুমি তাহলে তুমি শুরু করতে পারো
HRK/University Physics/অন্যান্য যেকোনো একটিকে টেক্সটবুক ধরে (তোমার যেটা পছন্দ) তোমার একাডেমিক টেক্সটবুক থেকে পড়ে আসা টপিক অনুযায়ী এসব ইংরেজি বই থেকে পড়তে যাতে তোমার টেক্সটবুকের কন্সেপ্ট ও ইংলিশ জড়তা দূর হয় তাড়াতাড়ি। প্রতিনিয়ত এই কাজ টা করতে হবে।
UP/HRK এর প্রতি টপিক বাই টপিক আগানো উচিৎ হবে না শুরু থেকে ( যদি মনে হয় তুমি পারবা তাহলে তুমি নিজে কন্টিনিউ করতে পারো - ন্যাশনাল এর জন্যে প্রস্তুতি বা ক্যাম্পার হলে বা ভালো লেভেলের ফিজিক্স পারলে )
UP/HRK কিভাবে শুরু করা উচিৎ -
টেক্সটবুকের সাথে রিলেটেড চাপ্টার দিয়ে শুরু করবো - থিওরি পড়বো
উদাহরণ গুলো করতে থাকবো
HRK থেকে না বুঝলে UP তে সেইম টপিকটা পড়বা অথবা উল্টাটাও করতে পারবা
২/৩ বার পড়ার পড়েও না বুঝলে তোমার ব্যাচমেট/জুনিয়র/সিনিয়র কারো সাথে আলোচনা করবা
প্রবলেম সলভ পারতেই হবে এমন না বাট অনেক টাইম দিতে হবে নিজে নিজে আইডিয়া বের করতে হবে কিভাবে সলভ করা যায়।
একটা প্রবলেম নিয়ে বেশি টাইম চিন্তাভাবনা করার এবিলিটি অর্জন করতে হবে। থিওরি কন্সেপ্ট যেন ক্লিয়ার থাকে
যেসব কাজ করা যাবেনা এই স্টেপে
তাড়াতাড়ি প্রবলেম নিয়ে হাল ছেড়ে দেয়া যাবেনা
সলিউশন দেখে সমাধান বুঝে সামনে আগানো যাবেনা
2) Mathematical skills যেগুলা ফিজিক্স পড়তে পড়তে শিখতে হবে
ভেক্টর বীজগণিত
ক্যালকুলাস দিয়ে প্রবলেম সলভিং
জটিল সংখ্যা
ত্রিকোণমিতি, ফাংশন ও গ্রাফ এনালাইসিস
প্রবলেম সলভিং করতে গিয়ে এসব প্রচুর লাগবে, প্রতিনিয়ত এসব ম্যাথ লাগবে তোমার প্রবলেম এর সঠিক প্রসেসের মাধ্যমে সমাধান করতে। সো এই ম্যাথ স্কিল গুলো ধীরে ধীরে ভালোভাবে শিখতে হবে।
কিছু বই পড়তে পারলে তোমার গণিতের আইডিয়া বেশ ভালো হবে -
নিউরণের অনুরণন (১ম ও ২য় খন্ড)
সহজ ক্যালকুলাস - জাফর ইকবাল (ছোটো বই ১ ঘন্টার বেশি ব্যয় করা উচিৎ না)
নিমিখ পানে- ক্যালকুলাসের পথ পরিভ্রমণ -(১ম ও ২য় খন্ড) চমক হাসান
প্রাণের মাঝে গণিত বাজে (বীজগণিত ও জ্যামিতি)
কমপ্লেক্স নাম্বার- জাফর ইকবাল (ছোটো বই ১ ঘন্টায় শেষ হয়ে যাবে)
দেখা না দেখা আলোর রূপ(জাফর ইকবাল)
এসব বই তুমি অবসর সময়ে পড়তে পারো।
3) টেক্সটবুকের প্রবলেম সলভিং এর পাশাপাশি অলিম্পিয়াড রিলেটেড প্রবলেম সলভিং করতে হবে যেন প্রীপারেশন শক্ত হয় সে জন্যে
তুমি ইতোমধ্যে আঞ্চলিক বা সিলেকশন রাউন্ড এর আগের বছরের প্রশ্ন দেখতে পারো। টপিক অনুযায়ী সলভ করার ট্রাই করো, নিজেরা গ্রুপ ডিস্কাশন করো। সলিউশন এর প্রসেস নিয়ে চিন্তাভাবনা করো।
4) তোমার যদি ইতোমধ্যে HRK/uniphysics পড়তে স্মুথ মনে হয় তাহলে অন্যান্য দেশের আঞ্চলিক প্রশ্ন গুলো দেখতে পারো
F=ma questions
HKPhO questions
British Physics Olympiad
Indian Physics Olympiad (2007-2011)
Srilankan physics Olympiad papers
Canadian physics Olympiad questions
এই সব দেশের রিজিওনাল প্রশ্নগুলো MCQ ভিত্তিক হয়ে থাকে। তুমি টপিজ ভিত্তিক এগুলা সলভ করতে হয়ে বুঝতে পারবা কেমন পারো।
এখন আমরা ভাবি যে - এই রোডম্যাপে চলতে গিয়ে আমাদের কোথাও থামতে হবে কোথাও বেশি টাইম দিতে হবে। প্রীপারেশন রোডম্যাপ সবার জন্যে সরল/স্মুথ না।
তুমি কোনো টপিক বা প্রবলেম সলভ করতে গিয়ে আটকায় আছো। তাহলে কি করবা?
তোমার সমস্যা কি সেটা নিজেকে ফাইন্ড আউট করতে হবে বা কোনো সিনিয়র এর সাথে আলোচনা করে বুঝতে হবে
তোমার সমস্যা নিয়ে কাজ করতে হবে। যেমন: কনসেপ্ট ক্লিয়ার না সেটা ধরা পড়লো প্রবলেম সলভিং এ তাহলে আবার পিছনে যাও, ঐ টপিক নিয়ে থিওরি UP/HRK থেকে পড়ে ফেলো। কিছু ছোটোখাটো প্রশ্ন সলভ করে বুঝার ট্রাই করো
বেস্ট ওয়ে হলো তোমার ব্যাচমেট কারো সাথে আলোচনা করা যাতে এতে করে তুমি ইজিলি নিজের উইক পয়েন্ট ফাইন্ড আউট করতে পারবা
আরেকটা অপশনাল কাজ করতে পারো - ঐ টপিকের নাম ইউটিউব বা গুগল করে কোনো ছোটো লেকচার বা নোট পড়েও বুঝতে পারো
সর্বশেষ অলিম্পিয়াড রিলেটেড কোনো সিনিয়র তোমাকে ভালো আইডিয়া দিতে পারবে (কিন্তু শুরুতে যাওয়া যাবেনা)
পুরো প্রীপারেশন জার্নিতে যেসব কাজ একদম ই করা যাবেনা -
বেশি বই পত্র নিয়ে শুরু করা যাবেনা। সর্বোচ্চ ২টা। এই নোটে যত বই বলা হয়েছে সব বই দিয়ে শুরু করতে বলা হয় নি, ধাপে ধাপে কখন কোন কোনটা পড়তে হবে সেটা বলা হয়েছে
নিজের ক্লাসের উপরের ক্লাসের ফিজিক্স বই পড়া যাবেনা(এটা অন্যতম ভুল চিন্তা) যেমন - ক্লাস ৯/১০ এ থাকাকালীন ক্লাস ১১/১২ এর বই পড়াশোনা করা
একাডেমিক বই পত্র থেকে অলিম্পিয়াড প্রীপারেশন নেয়া যাবেনা
পপুলার সায়েন্স দিকে ধাবিত হওয়া যাবেনা।
এইভাবে প্রীপারেশন নিতে পারলে ন্যাশনাল রাউন্ড পর্যন্ত নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারবা। পরে ন্যাশনাল রাউন্ড নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন দিবো, এই গাইডলাইন ধরতে পারো ন্যাশনাল রাউন্ডের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত প্রস্তুতি।
অলিম্পিয়াড প্রীপারেশনে কি কোনো ভিডিও কন্টেন্ট দেখা উচিৎ?
সেটা তোমার উপর ডিপেন্ড করে। কিন্তু ভিডিও লেকচারের উপর পুরোপুরি নির্ভর হওয়া উচিৎ না কারণ অনলাইনে যেসব ভিডিও লেকচার আছে এসব অলিম্পিয়াড এর জন্যে না বেশিরভাগ ভিডিও কন্টেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের ক্লাস। তবে কিছু লেকচার দেখতে পারো Khan Academy থেকে Mathematics নিয়ে যা বললাম ঐসব এবং ফিজিক্স এর ব্যাসিক টপিক নিয়ে অনেক কন্টেন্ট আছে। khan Academy থেকে ভিডিও কন্টেন্ট দেখে শুরু করা উচিৎ না। টেক্সটবুক বা বই পড়ার পাশাপাশি খান একাডেমি থেকে কন্টেন্ট দেখো যাতে তোমার- ইংরেজি বোঝার স্কিল উন্নতি হয় and কোন কন্সেপ্ট বই থেকে পড়ার পর আবার ভিডিও কন্টেন্ট দেখে তাড়াতাড়ি বুঝতে পারো
HRK/UP অনেক দূর পড়া হলে MIT open course এর ভিডিও দেখতে পারো তবে নির্দিষ্ট । Walter Lewin lectures on Physics. ইন্টারনেটে থাকা ফিজিক্স শেখার কনন্টের মধ্যে এটা অন্যতম সেরা। এগুলো MIT Physics এর Undergraduate দের ক্লাসের ভিডিও হলেও Professor Lewin যেভাবে এগুলো উপস্থাপন করেছেন, তাতে ক্যাল্কুলাস জানা যেকেউ সহজেই ভিডিও গুলো দেখে বুঝতে পারবে।
অলিম্পিয়াড এর প্রতি রাউন্ডে কেমন ও কিভাবে প্ল্যান করা উচিৎ -
১) সিলেকশন রাউন্ড :
সারাদেশের ২০/২২ হাজার শিক্ষার্থী অনলাইনের মাধ্যমে এই সিলেকশন রাউন্ড দিবে। এখান থেকে ৭০% বা ৬০% শিক্ষার্থী সিলেক্ট করা হয় আঞ্চলিক রাউন্ডের জন্যে।
প্রশ্নের ধরণ: বেসিক প্রশ্ন করা হয় তোমার ক্যাটাগরি অনুযায়ী টেক্সটবুকের টপিক অনুযায়ী। এই রাউন্ডে মুলত একটু ট্রিকি প্রশ্ন দেয়া হয়
টেক্সটবুক বা একাডেমিকের আলোকে প্রশ্ন হবেনা। MCQ or short answer এর মতো প্রশ্ন আসতে পারে
তোমার টার্গেট হওয়া উচিৎ ৮০% প্রশ্ন এন্সার করতে পারা এবং ৬০% প্রশ্নের শিউর কারেক্ট হবে।
আঞ্চলিক রাউন্ড :
ইতোমধ্যে তুমি সিলেকশন রাউন্ড থেকে অফলাইন আঞ্চলিক রাউন্ডে এক্সাম দিতে আসবা। এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিক্ষতা হবে অফলাইনে অপরিচিত কোন এক ভেন্যুতে গিয়ে এক্সাম দেয়া লাগবে
প্রশ্নের ধরণ - ছোটো প্রশ্ন ও বড় প্রশ্ন মিলিয়ে ৮/১০ টা প্রশ্ন থাকবে সময় ৯০ মিনিট বা একটু বেশি
আঞ্চলিক রাউন্ডে সব প্রশ্নের এন্সার করতে হবে এটা অন্যতম ভুল স্ট্রেটেজি (যদি সব প্রশ্নের টপিক আইডিয়া থাকে তাহলে ওকে)
যেদিকে নজর দেয়া উচিৎ তুমি যেসব টপিক পারো ভালো ঐ রিলেটেড প্রবলেম সলভ করো এরপরে কম পারা গুলা দেখো। কারণ ৯০ মিনিটে সব প্রশ্ন ভালো করে সলভ করতে পারা সহজ না। সময়ের দিকেও নজর দিতে হবে
৭০% বা ৮০% এন্সার করো এবং প্রায় সব ই হওয়া উচিৎ।
আঞ্চলিক রাউন্ডে বিজয়ী হলে ন্যাশনালের জন্যে ঝাপিয়ে পড়া উচিৎ। ওয়েট ততদিনে তোমার এক্সট্রা নতুন কিছু পড়াশোনা করার সময় থাকবেনা। ন্যাশনালের প্রীপারেশন নিতে হলে রিজিওনাল বা সিলেকশনের আগে থেকেই নিতে হবে। আঞ্চলিক রাউন্ড শেষ হওয়ার ১ সপ্তাহ পরেই ন্যাশনাল রাউন্ড হয়। এই কম সময়ে কিছু করার থাকবেনা তোমার। ন্যাশনাল রাউন্ড এর স্ট্রেটেজি ও প্রীপারেশন প্ল্যান পরে আলোচনা করবো।
অলিম্পিয়াড নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা :
১) অলিম্পিয়াড কি ক্লাস ভিত্তিক হয়?
না ক্যাটাগরি ভিত্তিক। এই বেপারে বিস্তারিত জানতে www.bdpho.org তে গিয়ে দেখে আসো
২) সিলেকশন রাউন্ড ও আঞ্চলিকের প্রশ্ন কোথায় পাবো?
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিস্তারিত সব পাবা। যেগুলো আপলোড করা নেই শীঘ্রই আপলোড করা হবে www.bdpho.org/past-papers
৩) অলিম্পিয়াড এর কোনো সিলেবাস আছে আলাদা?
হ্যাঁ আছে। ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ক্যাটাগরি ভিত্তিক দেয়া আছে
৪) অলিম্পিয়াড কবে অনুষ্ঠিত হবে? কিভাবে জানা যাবে?
প্রতিবছরের শেষ এর দিকে (ডিসেম্বর) শুরু হয়। (নির্দিষ্ট কোনো তারিখ সময় নেই)
বিস্তারিত জানতে হলে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/ফেইসবুক পেইজ/গ্রুপে নজর রাখতে হবে
৫) অলিম্পিয়াডের প্রশ্নগুলো অনেক কঠিন হয়। উপরের ক্লাসের প্রশ্ন করে।
মন্তব্যটি ভুল। অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন মুলত -
একাডেমিক প্রশ্নের মতো হয় না
প্রশ্নের কাঠিন্য থাকে (১০টা প্রশ্নের মধ্যে ১/২ টা কঠিন থাকে) কিন্তু সব প্রশ্নই কঠিন এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা
উপরের ক্লাসের প্রশ্ন করা হয় না। যা করা হয় সেটা তোমার ক্লাসের টপিক অনুযায়ী, ক্রিয়েটিভ প্রশ্ন সেট করা হয়। কোনো বই থেকে হুবহু প্রশ্ন দেয়া হয় না
৬) অলিম্পিয়াড এর এমন প্রশ্নের টার্গেট কি?
টেক্সটবুকের বাইরে পদার্থবিজ্ঞানকে নিয়ে আরো বিস্তর চিন্তাভাবনা করা। বাস্তব লাইফে আমরা একটা প্রবলেম কিভাবে সলভ করবো।
চিন্তাভাবনার লেভেল উন্নত করা
তোমার ফিজিক্স জ্ঞানের বিকাশ এর উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা হয়।
মূলত ক্লাস ৯/১০ থেকেই সবাই ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে “ভালোভাবে” যুক্ত হয়। আমি নিজেও গুরুত্ব দিয়ে ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের জন্য পড়া শুরু করেছি ক্লাস ৯ এ(তবে তোমাদের উচিত যত ছোট ক্লাসে পারো ফিজিক্সের সাথে যুক্ত হওয়া!)। এই ক্যাটাগরির কন্টেন্টগুলো তুমি কতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়েছো, সেটার উপরই তোমার অলিম্পিয়াড “ক্যারিয়ার” ডিপেন্ড করবে। বইগুলো ভালোভাবে পড়ার পাশাপাশি প্রচুর প্রব্লেম সল্ভ করতে হবে। প্রব্লেম সল্ভিং এর মাধ্যমে কিন্তু আসলে তোমার জানা থিওরি অংশগুলো আরো ভালোভাবে বোঝা যায়। প্রব্লেম সল্ভিং হলো অনেকটা সোফা পলিশ করার মতো। সোফাটা হলো তোমার ফিজিক্সের থিওরিটিক্যাল নলেজ। যত সোফাকে পলিশ করবে (প্রব্লেম সল্ভিং করবে), ততই সোফাটি আরো সুন্দর হবে। তবে মনে রাখবে, যদি তোমার সোফাটাই ভালো না হয়, বা সোফা ই না থাকে!, তাহলে কিন্তু শুধু শুধু পলিশ করতে যেয়ে সময় নষ্ট হবে!
শেষ কথা...
ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে বাস্তবিকেই ভালো করতে চাইলে একজনের টার্গেট হওয়া উচিত প্রথমে তার নিজের ক্যাটাগরির পড়াগুলো শেষ করা ও পরবর্তী ক্যাটাগরির পড়াগুলোও পড়তে থাকা। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোনো ক্যাটাগরির পড়া স্কিপ না করা। অনেকেই দেখা যায় HRK/PSE/UniPhy পড়ার জন্য বলা বইগুলো না পড়েই অন্য বইগুলো পড়া শুরু করে দেয়। এমনটা করা উচিত নয়। বেশিভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এরকমটা করলে ব্যাসিক কন্সেপ্ট পুরোপুরি ক্লিয়ার থাকেনা। তুমি যদি বি ক্যাটাগরিতেই অলিম্পিয়াড শুরু কর, তাহলে ক্যাটাগরি এ এর পড়াশোনা হয়তো স্কিপ করতে পারো, তবে বি ক্যাটাগরির পড়াগুলো স্কিপ করা চলবে না। যদি তুমি সি ক্যাটাগরিতে অলিম্পিয়াডের প্রিপারশন শুরু করো, সেক্ষেত্রেও আগে বি ক্যাটাগরির বইগুলো পড়ে আসা উচিত। এই লেখাটা পড়া শেষ হলে এই ব্লগটাও পড়ে ফেলতে পারোঃ Physics Olympiad Study Guidelines। এখানে একজন আইফো সিলভার মেডেলিস্ট তার অভিজ্ঞতা থেকে ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতির ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
যেকোন কাজেই সফলতা লাভের জন্য প্রয়োজন হয় পরিশ্রমের। ফিজিক্স ও ব্যাতিক্রম না। কেবল অলিম্পিয়াডের আগে প্রিপারেশন নিয়ে ভালো করা সম্ভব না। পুরো বছর জুরেই প্রিপারেশন নিতে থাকতে হবে। অনেক বেশি প্রবলেম সল্ভ করতে হবে। ফিজিক্সে অনেক মজার মজার প্রবলেম আছে। তুমি যদি কোন প্রবলেম চেষ্টা না করে কেবল সলিউশন দেখে নাও, তাহলে হয়তো তুমি খুবই মজার একটা অভিজ্ঞতা মিস করে গেলে!
Links :
Olympiad guidelines : https://smartiansofscience.org/guideline-blogs/
Physics Olympiad Preparation : https://smartiansofscience.org/physics-olympiad-how-to/
How to start Calculus : https://smartiansofscience.org/learn-calculus/
Why olympiad? https://smartiansofscience.org/why-olympiad/
Ahmed saad sabit’s personal site : https://kneardhead.github.io/
From - Smartians of Science, Rajshahi
Edited by - Cosmos Physics Circle, Cumilla
Physics is fun